চিত্র-১
বাল্য বিবাহের
ধারণা:
বাল্য
বিবাহ বলতে বুঝায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ বর-কনের যে
কোনো একজনের বয়স বিবাহের উপযুক্ত বয়স থেকে কম। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ছেলের বয়স কম পক্ষে ২১
বছর এবং মেয়ের বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর বিয়ের
বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে, এই বয়সের আগে
বিয়ে হলেই বাল্য বিবাহ ধরা হবে।
বাল্য বিবাহের
কারণ:
·
অভিভাবকের
অসচেতনতা
·
দারিদ্রতা
·
শিক্ষার
অভাব
·
ধর্মীয়
অপব্যাখ্যা
·
সামাজিক
কুসংস্কার
·
কন্যা
শিশুর প্রতি অবহেলা
·
নিরাপত্তার
অভাব।
বাল্য বিবাহের
ক্ষতিকর
দিকসমুহ:
·
বাল্য
বিবাহের ফলে মা ও শিশুর
মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে
·
বাল্য
বিবাহের ফলে দীর্ঘমেয়াদী মায়ের স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে
·
তালাক
ও বহুবিবাহ হতে পারে
·
শরীর
ও স্বাস্থ্য নষ্ট হতে পারে
·
মেজাজ
খিটখিটে হতে পারে
·
প্রসবের
সময় মা ও শিশুর
মৃত্যু হতে পারে
·
দূর্বল
ও পুষ্টিহীন শিশুর জন্ম হতে পারে
·
সন্তান
প্রসবের সময় মায়ের মানসিক ও শারিরীক বিভিন্ন
ক্ষতি হতে পারে
·
পরিবারের
আর্থিক ক্ষতি হতে পারে।
বাল্য বিবাহ
বন্ধ
করার
উপায়সমুহ:
·
অভিভাবকদের
সচেতন করা
·
ছেলেমেয়েদের
লেখাপড়া শেখানো
·
মেয়েদের
আয়বর্ধক কর্মসূচির সাথে সম্পৃক্ত করা
·
বাল্য
বিবাহের ক্ষতিকর দিকগুলি প্রচার করে জনগণকে সচেতন করা
·
বাল্য
বিবাহ যে, বে-আইনী তা
প্রচার করা
·
জন্ম
নিবন্ধন কার্ড ছাড়া বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন না করা
·
জন্ম
নিবন্ধন পরিবর্তন না করা
·
ইউনিয়ন
পরিষদের প্রতিনিধিগণকে জানানো
·
প্রয়োজনে
প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়া।
বাল্য বিবাহের
আইনগত
দিক
:
বাল্য
বিবাহ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বাল্য বিবাহের জন্য ছেলে মেয়ের অভিভাবক, কাজী. সাক্ষী, ঘটক, ইমাম কোনো কোনো ক্ষেত্রে ছেলে নিজের নামে অর্থাৎ বিবাহ সম্পাদনের সাথে যারা যারা জড়িত থাকে তাদের সকলের নামে ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধিগণ বা সমাজের সাধারণ
মানুষ বাদী হয়ে মামলা করতে পারে।
বাল্য বিবাহের
শাস্তি:
বাল্য
বিবাহের শাস্তির পরিমান ১ মাস পর্যন্ত
জেল অথবা ১ হাজার টাকা
জরিমানা অথবা উভয়ই দন্ড।
চিত্র-২
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন