চিত্র-১
এসিড নিক্ষেপের
ধারণা:
ক্ষতি
করার উদ্দেশ্যে অন্যের শরীরে এসিড ছুড়ে মারাকে এসিড নিক্ষেপ বুঝায়।
এসিড:
এসিড
একটি তরল রাসায়নিক দাহ্য পদার্থ যা শরীরে লাগলে
পুড়ে যায় এবং জ্বলতে শুরু করে। এমনকি চামড়া ভেদ করে হাড় পর্যন্ত পৌছে ক্ষতি করে।
এসিড নিক্ষেপের
কারণ:
১. পারিবারিক
কলহ
২. জমিজমা
দখল
৩. বিবাহ
প্রস্তাব প্রত্যাখান
৪. কু
প্রস্তাবে রাজি না হওয়া
৫. যৌতুকের
দাবি পূরণ না হলে
৬. সন্ত্রাস
ও চাঁদাবাজ
৭. তালাক
ও বিচ্ছেদ হওয়ার পর
৮. প্রেম
নিবেদন করে ব্যর্থ হলে ইত্যাদি
৯. রাজনৈতিক
প্রতিহিংসা।
এসিড
নিক্ষেপে আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষতিকর প্রভাব:
১. চামড়া
মারাত্বকভাবে পুড়ে যেতে পারে
২. চোখ
চিরতরে অন্ধ হয়ে যেতে পারে
৩. সমাজ
থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে
৪. অঙ্গহানি
হতে পারে
৫. পরের
অনুগ্রহে বেঁচে থাকতে হয়
৬. চেহারা
বিকৃত হয়ে যায়
৭. মেয়েদের
বিয়ে দিতে সমস্যা হয়
৮. আত্মহত্যা
বেড়ে যায়
৯. মানসিক
ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতে পারে।
এসিড নিক্ষেপে
আক্রান্ত
ব্যক্তির
তাৎক্ষণিক
করণীয়:
১. আক্রান্ত
স্থানে পর্যাপ্ত ঠান্ডা পানি ঢালা (কমপক্ষে আধ ঘন্টা)
২. চোখ
বন্ধ রাখা (কাপড় দিয়ে বেঁধে দেওয়া)
৩. পুড়ে
যাওয়া স্থান পরিস্কার নরম ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া
৪. আক্রান্ত
হওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা
৫. তাৎক্ষণিকভাবে
সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার দায়ের করা
৬. সমস্ত
আলামত ও প্রমাণ সংরক্ষণ
করা
৭. স্থানীয়ভাবে
বিচার সালিশ না করা
৮. স্থানীয়
ব্র্যাক অফিসের সাথে যোগাযোগ করা।
এসিড নিক্ষেপ এসিড নিক্ষেপ:
১. এসিড
নিক্ষেপের খারাপ দিক সম্পর্কে সকলকে জানানো
২. এসিড
নিক্ষেপকারীকে থানায় সোপর্দ করা
৩. এসিডে
আক্রান্ত ব্যক্তিকে যথাশীঘ্রই চিকিৎসা প্রদান, আইনগত পরামর্শ ও সহযোগিতা করা
৪. এসিড
নিক্ষেপকারীর যাতে শাস্তি হয় সে ব্যাপারে
সহযোগিতা করা
৫. এসিড
নিক্ষেপের শাস্তি সম্পর্কে জানানো
৬. গণসাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা
৭. আক্রান্ত
ব্যক্তির পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা
৮. অবৈধ
এসিড বিক্রেতা সম্পর্কে থানায় জানানো
৯. এসিড
বিক্রেতার লাইসেন্স আছে কিনা তা যাচাই করা।
এসিড নিক্ষেপের
আইনগত
দিক
:
এসিড নিক্ষেপকারীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও সেই সাথে অর্থদন্ড। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মুত্যুদন্ডও হতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন