চিত্র-১- ইউনিয়ন পরিষদ
স্থানীয় সরকারের বির্বতন:
১৮৭০ সালে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষণার্থে চৌকিদারী পঞ্চায়েত আইন প্রর্বতন হয়।
১৮৮৫ সালে বঙ্গীয় স্বায়ত্ব শাসন আইন পাশ হয়, যা তিন স্তর বিশিষ্ট।
· ইউনিয়ন কমিটি
· মহাকুমা পর্যায়ে লোকাল বোর্ড
· জেলা পর্যায়ে জেলা বোর্ড
১৯১৯ সালে ইউনিয়ন বোর্ড গঠন হয়।
১৯২১ সালে বর্গীয় আইনসভায় আনীত নারীদের ভোটের অনুমোদন দানের প্রস্তাবটি পরিষদে নাকচ হয়ে যায়। ইতোপূর্বে ১৯১৯ সালে ভারত শাসন সংস্কার বিল এর মাধ্যমে নারীর ভোটাধিকার প্রদান করা হয় যা ১৯২৯ সালে কার্যকর হয়। এই বিল অনুযায়ী তিনটি শর্ত সাপেক্ষে ভোটাধিকার প্রযোজ্য হত:
১. নারীকে বিবাহিত হতে হবে;
২. নারীকে সম্পত্তির অধিকারী হতে হবে এবং
৩. নারীকে শিক্ষিত হতে হবে।
১৯৫৯ সালে মৌলিক গণতন্ত্র চালুর মাধ্যমে স্থানীয় সরকার ৪ স্তরের করা হয়:
১. ইউনিয়ন কাউন্সিল;
· ২. থানা কাউন্সিল;
· ৩. জেলা কাউন্সিল;
· ৪. বিভাগীয় কাউন্সিল।
১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির ৭ নম্বর আদেশ বলে ইউনিয়ন কাউন্সিলের পরিবর্তে ইউনিয়ন পঞ্চায়েত করা হয়।
১৯৭৩ সালে রাষ্ট্রপতির ২নং আদেশ বলে ইউনিয়ন পঞ্চায়েত পরিবর্তিত হয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নাম হয়।
· ১. ইউনিয়ন পরিষদের তিনটি ওয়ার্ড গঠন হয়;
· ২. প্রতি ওয়ার্ডে তিন জন করে সদস্য নির্বাচিত হয়;
৩ একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়।
১৯৭৬ সালে ভাইস চেয়ারম্যান পদ বাতিল হয়। এই সময় চেয়ারম্যানসহ ৯ জন মেম্বার নির্বাচিত হয়, ২ জন নারী প্রতিনিধি ও ২ জন কৃষক প্রতিনিধি মনোনীত করার বিধান হয়।
১৯৮৩ সালে ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) অধ্যাদেশ’, ১৯৮৩ নামে ইউনিয়ন পরিষদের জন্য একটি স্বতন্ত্র অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা হয়। ১৯৮৮ ও ১৯৯০ সালেও কিছু সংশোধন করা হয়।
১৯৯৭ সালে সংশোধনীর মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের ৩টি ওয়ার্ডকে ভেঙে ৯টি ওয়ার্ডে ভাগ করা হয়। যেখানে ৩টি ওয়ার্ড নিয়ে একজন সংরক্ষিত আসনে সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বিধান রাখা হয়।
২০০৯ সালে সরকার পূর্বের সকল আইন বাতিল করে সংসদ কর্তৃক ইউনিয়ন পরিষদ সংক্রান্ত বিদ্যমান অধ্যাদেশ রহিত করে একটি নুতন আইন প্রণয়ন করে। যা স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ নামে অভিহিত।
সূত্র: ১। ইউনিয়ন পরিষদ আইন ১৯৯৭
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন