ছবি : এখান থেকে নাম যাচাই করুন
মনে করুন, আপনারা কিছু বন্ধু বান্ধব মিলে একটি সংগঠন তৈরি করেছেন যার মূল কাজ হচ্ছে সমাজের দুঃস্থ্য অসহায় শিশুদের বিনা মূল্যে শিক্ষা দান করা । এছাড়াও বিভিন্ন সেবা মূলক কাজ আপনারা এই সংগঠনের মাধ্যমে করে থাকেন । এবং বেশ কিছু দিন হলো আপনারা এ কাজটি করে আসছেন । এখন জানার বিষয় হলো আপনারা এই সংগঠনটি করার সরকারি অনুমোদন নেবেন কিভাবে তথা রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করবেন কিভাবে ?
এখানে
উল্লেখ্য যে, আপনারা যদি নির্দিষ্ট একটি এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে সংগঠনটি করতে
চান তাহলে আপনারা সমাজসেবা আধিদপ্তর থেকে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারেন । আর যদি মনে
করেন আপনারা সমগ্র বাংলাদেশ জুরে কাজটি করতে চান তাহলে আপনাদের যেটি করতে হবে তা
হলো আপনাদের জয়েন্ট ষ্টক কম্পানী থেকে সোসাইটি রেজিষ্ট্রশন এ্যাক্টের আওতায় রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। বেশিরভাগ
ক্ষেত্রেই সকলে জয়েন্ট ষ্টক কম্পানী থেকেই রেজিষ্ট্রশন গ্রহন করে । আর সে জন্য আপনাদের যে কাজ করতে হবে তা হলো –
§ প্রথমেই
আপনাদের সংগঠনের একটি নাম ঠিক করতে হবে । নামের শেষে অবশ্যই ফাউন্ডেশন অথবা
সোসাইটি কথাটি থাকতে হবে। নেম ক্লিয়ারেন্সের জন্য আপনাদের সংগঠনের নামটি জয়েন্ট ষ্টক
কম্পানীতে দাখিল করতে হবে । কম্পানী আপনাদের সংগঠনের নামটি যাচাই -বাছাই করে তথা ঐ
নামে আর কনো সংগঠন না থাকলে আপনাদেরকে নেম ক্লিয়ারেন্স দিয়ে দেবে । এক্ষেত্রে সাধারণত
দুই দিন সময় লাগে । উল্লেখ্য নেম ক্লিয়ারেন্সের জন্য আপনাদেরকে ব্যাংকের মাধ্যমে
নিদৃষ্ট ফি প্রদান করতে হবে । আর আপনারা চাইলে জয়েন্ট ষ্টক কম্পানীর ওয়েব সাইটের
মাধ্যমে আপনাদের নির্ধারিত নামে আর কোন সংগঠন আছে কিনা তা দেখে নিতে পারেন ।
§ আপনাদের
একটি পরিচালনা পরিষদ গঠন করেতে হবে যেটি হবে নূন্যতম সাত জন বিশিষ্ট অথবা নয় ,
এগারো বা তেরো জন বিশিষ্ট হতে পারে তবে অবশ্যই বেজোর সংখ্যক হতে হবে । কেননা যে
কোন সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে ভোটের প্রয়োজন হতে পারে। এবং পরিচালনা পরিষদের
সকলের নাম. ঠিকানা, ভোটা আইডি কার্ড সহ যাবতীয় কাগজপত্র জয়েন্ট ষ্টক কম্পানীতে
দাখিল করতে হবে । উল্লেখ্য সকলকে অবশ্যই প্রাপ্ত বয়েষ্ক হতে হবে ।
§ আপনাদের
সংগঠনের একটি গঠনতন্ত্র থাকতে হবে। যেখানে আপনাদের সংগঠেনের লক্ষ্য, উদ্দ্যেশ্য, কার্যক্রম সহ অন্যান্য বিষয়াদি ভালো ভাবে উল্লেখ থাকতে
হবে । এবং পরিচালনা পরিষদের বিভিন্ন দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি বর্গের পদ এবং কার্যক্রম
সম্পর্কে উল্লেখ থাকতে হবে । এক্ষেত্রে এ সম্পর্কিত একজন আইনজিবীর সাথে পরামর্শ
করে গঠন তন্ত্রটি প্রন্তুত করে নিতে হবে ।
§ গঠনতন্ত্র
হয়ে গেলে সমস্ত কাগজপত্র সহ নির্ধরিত ফি জমা দিয়ে জয়েন্ট ষ্টক কম্পানীতে
রেজিষ্ট্রেশনের জন্য দাখিল করতে হবে ।
§ জমাদেওয়ার পর জয়েন্ট ষ্টক কম্পানী আপনাদের সবকিছু যাচাই বাছায়ের জন্য আপনাদের কাগজপত্র
পাঠাবে এনএসআই এর কাছে । তারা যাচাই বাছাই করে দেখবে আপনাদের কাগজপত্র এবং গঠন
তন্ত্রে উল্লেখিত লক্ষ্য উদ্দেশ্য কার্যক্রম সবকিছু ঠিক-ঠাক আছে কিনা । আপনারা
রাষ্ট্র বিরোধি কোন কাজ করছেন কিনা । সব কিছু বিশ্লেষণ করে এনএসআই সন্তষ্ট হলে তারা
জয়েন্ট ষ্টককে একটি ক্লিয়ারেন্স লেটার দেবে।
§ এনএসআই
এর ক্লিয়ারেন্স লেটার পাওয়ার পরই জয়েন্ট ষ্টক কম্পানী আপনাদের সংগঠনের রেজেষ্ট্রশন প্রদান কররে। এক্ষেত্রে
সাধারণত দুই থেকে তিন দিন সময় লাগে ।
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, এনএসআইন এর ক্লিয়ারেন্স লেটার
পেতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায় । যার জন্য ধৈর্য সহকারে অপেক্ষা করতে হবে । কারণ
এনএসআই বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ণ রাষ্ট্রিয় দায়িত্ব পালনের পাশা-পাশি এ দায়িত্বটিও
পালন করে থাকে । আর এভাবেই আপনারা করে ফেলতে পারেন আপনাদরে সংগঠনটির কাঙ্খিত
রেজিষ্ট্রেশনটি । আর বেজিষ্ট্রশন একবার হয়ে গেলে
আপনাদের সংগঠনের নামে আর কেউ কোন সংগঠন করতে পারবে না । এছাড়া আপনারা সরকার
প্রদত্ত বিভিন্ন সুযোগ – সুবিধা ভোগ করতে পারবেন
এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে আপনারা আপনাদের সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে
পারবেন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন