শীত কালে আমাদের প্রধান সমস্য হচ্ছে নাক বন্ধ থাকা নাক দিয়ে পানি পরা বা অতিরিক্ত হাচি হওয়া । সাধারণত শীতের শুরুতে অথবা শীতের শেষের দিকে আমরা এ ধরণের অসুখে ভুগি যেটাকে অনেকে বলে সর্দি লাগা এবং সাধারণত গরমের সময়েও যদি কখনও – কখনও চট করে টেম্পারেচার ওঠানামা করে তখন সেক্ষেত্রে এধরণের সমস্যা হতে পারে । এটিকেই মেডিক্যালের পরিভাষায় বলা হয় এলার্জিক রাইনাইটিস। এলার্জি একটি বংশগত রোগ যাদের ফ্যামেলি হিষ্ট্রি থাকে অনেক সময় দেখা যায় বাবা-মার আছে সেখান থেকে ছেলে-মেয়েদের হতে পারে বা ভাই- বোনদের আছে ।
এলার্জি কখনও
সম্পুর্ণ রূপে ভালো না হলেও কিছু - কিছু চিকিৎসা এবং কিছু - কিছু নিয়ম মেনে চললে এলার্জির
প্রতিকার সম্ভব । এলার্জিক রাইনাইটিস যাদের থাকে তাদের নাকের মাংপেশি ফুলে যায় অনেক
সময় নাকের হাড্ডি বাকা থাকে নাকের ভেতরের ঝিল্লিতে প্রদাহ তৈরি হয় এবং গলার
পেছন দিকের দেয়ালে এক ধরণের প্রদাহ তৈরি হয়ে থাকে । এছাড়া এর অন্যান্য লক্ষণ গুলো হচ্ছে অতিরিক্ত
তথা অনবরত হাচি হওয়া, নাকের ভেতরে ব্যথা করা এবং গলার ভেতরে ব্যথা করা
এলার্জি প্রতিরোধের জন্য প্রথম যেটি দরকার সেটি
হলো যে সকল কারনে এলার্জি তৈরি হয় তা থেকে বেঁচে থাকা তথা ধূলাবালি, ধোয়া ইত্যাদি এড়িয়ে
চলতে হবে প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে ।
এলার্জিক
রাইনাইটিস মারাত্নক কোন অসুখ না হলেও এটি মানুষকে খুব যন্ত্রণা দেয় এবাং যারা এই
রোগে আক্রন্ত তাদের আতি সত্তর নাক কান গলা বিশেষঞ্জের পরামর্শে এন্টি হিস্টামিন জাতীয়
ঔষধ ও স্টেরোয়েড জাতীয় স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে । অনেক সময় আমরা নাকের ড়্রপ
ব্যবাহর করে থাকি । নাকের ড়্রপ আসলে দীর্ঘ দিন ব্যবহার করা যায় না । একটা সময় পরে
এটির কার্যকারিতা আর থাকে না ।
সার্বিক ভাবে
যারা এই রোগে আক্রান্ত তাদের অবশ্যই ধুলাবালি, ধোয়া, ঠান্ডা ইত্যাদি ব্যাপারে সতর্ক থাকতে
হবে । অনেক সময় দেখা যায় কারো কারো দন্ধতেও এলার্জি থাকে এবং অনেকে আমরা যেটা করি
শীত আসলে লেপ তোষক ভালো ভাবে ওয়াশ না করেই ব্যবাহর করি যার ফলেও আমরা এ ধরণের রোগে
আক্রান্ত হতে পারি । সুতরাং এসকল বিষয় মেনে চলার মধ্য দিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহনের
মাধ্যমে এলার্জিক রাইনাইটিস থেকে দূরে থাকা সম্ভব ।
(তথ্য
সূত্রঃ ডাঃ সৈয়াদ ফরহান আলী রাজিব, সাহযোগী অধ্যাপক, নাক, কান ও গলা বিভাগ,
বঙ্গবন্ধু শেখ মজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় । )
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন