ব্র্যাক নামক বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের মাঠ পর্যায়ের সাধারণ একজন কর্মকর্তা আমি। উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরনে কাজ করাই আমার পেশা । আর পেশাগত দায়িত্ব পালনে আমাকে প্রতিনিয়তই এক উপজেলা থেকে আর এক উপজেলায় যাযাবরের মতো ঘুরে বেড়াতে হয় । প্রথমদিকে বিরক্ত লাগলেও গত প্রায় দু-বছরে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি আমি।
এমনই এক পর্যায়ে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় পেশাগত কারণে উপজেলা চত্তরে আমার অবস্থান। দিন তারিখের কথা মনে নেই সে আমার মনেও থাকে না, রৌদ্রুউজ্জ্বল এক সকালে পেশাগত দায়িত্ব হিসেবে উপজেলার সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে চা -এর সাথে টা এর বদঅভ্যাসকে চরিতার্থ করতে উপজেলার চা এর দোকান খুজে নিতে বরাবরই আমার কোন সমস্যা হয় না । সকাল বেলায় ভারি নাস্তা করার অভ্যাস না থাকায় ক্ষুধাও অনুভব করছি কিন্তু কপাল খারাপ চা এর দোকানে চা ছাড়া আর কিছুই নেই । অগত্যা কি আর করা, চা এর দোকানের পাশে একটি দোকান রয়েছে , উল্লেখ্য দোকানটির বাইরের অংশ বেশ লোহার গ্রিল দিয়ে আটকানো আর এর আশে-পাশে গাছের উপরে বেশ কয়েকটি কাক ডাকা-ডাকি করছে, সেখান থেকে একটা চানাচুরের প্যাকেট নিয়ে দোকানের সামনে দাড়িয়ে খেতে -খেতে অবচেতন মনে কিছু একটা চিন্তা করতে-করতে অন্যমনষ্ক হয়ে পড়েছি । আর এমন সময় ......... কি ভাবছেন কাক টয়লেট করেছে ??? কিন্তু না কাক যে এত সাহসী হয় তা হয়তো আমার মতো আপনারও জানা ছিল না । কারণ এ্কটা কাক দ্রুত গতিতে এসে স্লো-মোসানে আমার হাতে থাকা চানাচুরের প্যাকেট খানা আমারি চোখের সামনে ছিনিয়ে নিয়ে গেল আর আমি হতবাক হয়ে দেখলাম আর মনে-মনে হয়তো একটু মজাও পেলাম। কিন্তু মজা যতটুকুই পাই না কেন আসল কথাটা হচ্ছে ক্ষুধা পাইলে কাকেও চানাচুর খায় ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন