“কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল” কর্মসূচি বাস্তবায়ন নীতিমালা

পটভূমিঃ 

ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচি মা’জাতির সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বিকারের প্রতি জাতীয় স্বীকৃতি। কর্মজীবী মা’দের জন্য সহায়তা দরিদ্র মা ও শিশুর স্বাস্থ্য , পুষ্টি উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার কর্তিক গৃহীত একটি অন্যতম সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম। যার মাধ্যমেগর্ভ ধারণকাল থেকে ২৪ মাস পর্যন্ত সরকার নির্ধারিত হারে নগদ অর্থ , আর্থ-সামাজিক ও সচেতনতামূলক সেবা প্রদান করা হবে । উল্লেখ্য বাল্য বিবাহ ও যৌতুকের জন্য নির্যতন রোধকল্পে শুধুমাত্র ২০ বছরের অধিক বয়সী দরিদ্র কর্মজীবী গর্ভবতী/ দুগ্ধদায়ী মা’দের ক্ষেত্রে প্রথম বা দ্বিতীয় গর্ভধারণ কালে এ ভাতা প্রযোজ্য হবে । গর্ভবতী মা’দের শিশু ভূমিষ্ট হওয়ার পর থেকে সুস্থ সবলভাবে বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যসম্মত পরিচর্যা। এ প্রেক্ষিতে নারী ও শিশুর অধিকার সংরক্ষণ বিশেষভাবে নিরাপদ ও সুস্থ পরিবেশে বেড়ে ওঠার জন্য সমন্বিত কর্মসূচী হিসেবে শহর অঞ্চলে “কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল” কর্মসূচী বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। 

কর্মসূচীর কৌশলগত লক্ষ্য উদ্দেশ্যঃ

লক্ষ্যঃ

দারিদ্র নিরসনে সরকারি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে একটি সামাজিক নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলার মাধ্যমে কর্মজীবী দরিদ্র মা’দের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে এই নিরাপত্ত বেষ্টনীর লক্ষ্য সমূহ 

নিম্নরূপঃ

১। মা ও শিশুর মৃত্যুহার হ্রাস ।
২। মাতৃদুগ্ধ পানের হার বৃদ্ধি।
৩। গর্ভাবস্থায় প্রসব ও প্রসবোত্তর সেবা বৃদ্ধি
৪। স্বাস্থ্য ও জন্ম নিয়ন্ত্রন।
৫। গৃহ ও নিরাপদ পরিবেশ।
৬। জীবিকার মান উন্নয়ন ।
৭। পুষ্টি সহায়তা প্রদান। 

উদ্দেশ্যঃ 
কহর এলাকার দরিদ্র কর্মজীবী দুগ্ধদায়ী মা এবং তাঁদের শিশুদের জন্য উপরে উল্লেখিত লক্ষ্য কেন্দ্রিক  কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে সার্বিক জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করা ।

বাস্তবায়ন পদ্ধতি ও বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষঃ

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে শহর অঞ্চলে “কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচি মহিলা বিষয়ক অদিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।

জাতীয় ষ্টিয়াবিং কমিটি ঃ

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে একটি জাতীয় ষ্টিয়াবিং কমিটির মাধ্যমে কর্মজীবি ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচির এই ভাতা প্রদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এই কর্মসূচির  আওতায় ২০১০-২০১১ অর্থ বছর হতে শহর এলাকার কর্মজীবী দরিদ্র গর্ভবতী দুগ্ধদায়ী মা’দের এই ভাতা প্রদান করে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হবে । এই ভাতা প্রদানের মাধ্যমে দরিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথ উন্মচিত হয়েছে । এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে নীতি নির্ধারণ ও দিক নির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে সচিব/ ভারপ্রাপ্ত সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক  মন্ত্রণালয় এর সভাপতিত্বে একটি ষ্টিয়ারিং কমিটি গঠত হবে । মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক উক্ত কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন ।

জাতীয় ষ্টিয়ারিং কমিটিং ঃ 

১. সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়                                    সভাপতি
২. সভাপতি/ প্রতিনিধি, বিজিএমইএ                                               সদস্য
৩. সভাপতি/ প্রতিনিধি বিকেএমইএ                                                 সদস্য
৪. যুগ্ম-সচিব (প্রশাঃ) মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়                                সদস্য
৫. প্রতিনিধি অর্থ বিভাগ, অর্থমন্ত্রণালয়                                             সদস্য
৬. প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়                                                             সদস্য
৭. প্রতিনিধি, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রালয়                                                 সদস্য
৮. প্রতিনিধি, ন্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়                                              সদস্য
৯. উপ- সচিব (সংশ্লিষ্ট) মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়                 সদস্য
১০. সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কর্মরত এনজিও/ সিবিও এর প্রতিনিধি                                                                            (মহিলা বিষয়ক জন যদি নিয়োগ দেওয়া হয় )                               সদস্য
১১. পরিচালক , মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর                                           সদস্য
১২. মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এর কর্মসূচি বাস্তবায়নে দায়িত্ব                                             
                প্রাপ্ত সহকারী পরিচালক                                                      সদস্য
১৩. মহা পরিচালক, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর                               সদস্য সচিব

কমিটি প্রয়োজনে অতিরিক্ত সদস্য কো- অপট করতে পারবে । 

জাতীয় ষ্টিয়ারিং কমিটির পরিধি ঃ

ক. কর্মসূচির নীতি নির্ধারণ, নীতিমালা প্রণয়ন , বাস্তবায়নে নির্দেশনা দান,
খ. কর্মসূচির আওতাধীন উপকারভোগী মা’দের প্রতিষ্ঠান/ কর্মস্থল ভিত্তিক সংখ্যা এবং জেলা পর্যায়ে          অবস্থিত সিটি করপোরেশন/ পৌরসভা ওয়ারী সংখ্যা নির্ধারণ
গ. মাসিক ভাতার পরিমাণ নির্ধারণ
ঘ. বিজিএমইএ/ বিকেএমই এ এর আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহ হতে নির্ধারিত উপকারভোগীদের সংখ্যা         অনুমোদন
ঙ সম বৈশিষ্ট সম্পন্ন সরকারের অপরাপর সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধন
চ. এনজিও/ সিবিও নির্বচন পদ্ধিতি নির্ধারণ এবং তাদের ভূমিকা/ অংশগ্রহন সম্পর্কে কৌশল ও                    রূপরেখা প্রণয়ন
ছ. কর্মসূচির সামগ্রিক পরিকল্পনা অনুমোদন ও বাজেট অনুমোদন
জ. কর্মসূচির জন্য একটি মূল্যায়ন টিম গঠন ও বছর ভিত্তিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন পর্যালোচনা
ঝ. বাস্তবায়নের উপায় উদ্ভাবন
ঞ. এনজিও/ সিবিও এর কর্ম এলাকা ও কর্ম পরিধি নির্ধারণ ও সেবার জন্য সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ
ট. কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত এনজিওদের চুরান্ত অনুমোদন ।
ঠ. ষ্টিয়ারিং কমিটি বছরে নূন্যতম ২টি সভায় মিলিত হবে। প্রয়োজনে সভার সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে


 বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটি ঃ

১. মহাপরিচালক মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর                                                             সভাপতি
২. প্রতিনিধি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণায় ( উপ- সচিক পর্যায়ের )                        সদস্য
৩. পরিচালক মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর                                                                      সদস্য
৪. প্রতিনিধি এনজিও / সিবিও ( মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর
         কর্তিক মনোনীত, হয়) দি এনজিও নিয়োগ দেওয়া                                               সদস্য
৫. প্রতিনিধি, বিজিএমইএ                                                                                            সদস্য
৬. প্রতিনিধি বিকেএমইএ                                                                                             সদস্য
৭. কর্মসূচী বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রোগ্রাম অফিসার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর      সদস্য
৮. কর্মসূচী বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাহকারী পরিচালক মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর     সদস্য সচিব

প্রয়োজনে কমিটি অতিরিক্ত সদস্য কো- অপ্ট  করতে পারবে । 


বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির কার্য পরিধি ঃ

১. বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ কর্তৃক উপস্থিত দরিদ্র কর্মজীবী গর্ভবতী / দগ্ধদায়ী মা’দের তালিকা হতে অগ্রধিকার বিবেচনার ভিত্তিতে এবং প্রয়োজনের নিরীখে এ কর্মসূচীর  সহায়তা তহবিল বিতরণের জন্য চুরান্ত তালিকা অনুমোদন এবং পরিবীক্ষণ কার্যক্রম গ্রহন; 

২. কর্মএলাকা ও কর্মস্থল ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন , সংশ্লিষ্ট এলাকা ও কর্মস্থলের জন্য এনজিও/ সিবিও নির্বাচন 

৩. এনজিও / সিবিও নির্বাচনের জন্য প্রত্রিকায় বিঞ্জপ্তি প্রদান এনজিও/সিবিও এর যোগ্যতা নির্ধারণ, আবেদন পত্র যাচাই বাছাই মূল কমিটিতে অনুমোদনের জন্য চুরান্ত তালিকা প্রণয়ন। এ সংক্রান্ত কাজে প্রয়োজনে সাব কমিটি গঠন;

৪. সহায়তা তহবিল বিতরণ নিশ্চিত করণ;

৫. সহায়তা তহবিল বিতরণ পদ্ধতি নির্ধারণ;

** কমিটি প্রয়োজনে যে কোন সময় সভায় মিলিত হয়ে কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করবে । 

জেলা পর্যায়ে কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার নির্বাচন কমিটি ঃ

১. জেলা প্রশাসক                                                                                    সভাপতি
২. সিভিল সার্জন                                                                                         সদস্য
৩. জেলা পর্যায়ের  একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি                                                সদস্য
৪. সচিব সিটি করপোরেশন / পৌরসভা                                                       সদস্য
৫. মহিলা ওয়ার্ড কমিশনার  ( জেলা প্রশাসক কর্তৃক মনোনীত – ১ জন )   সদস্য
৬. উপ-পরিচালক , সমাজ সেবা অধিদপ্তর সদস্য
৭. উপ-পরিচালক পরিবার পরিকল্পনা                                                          সদস্য
৮. প্রতিনিধি এনজিও/ সিবিও  ( জেলা প্রশাসক কর্তৃক মনোনীত ,
নির্বাচিত এনজিও সমূহ একজন , যদি এনজিও / সিবিও নিয়োগ দেয়া হয় )    সদস্য
৯. জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা                                                            সদস্য সচিব

জেলা পর্যায়ে কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার নির্বাচন কমিটির কার্য পরিধি ঃ

ক. জেলা কমিটি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিশনার, মহিলা ওয়ার্ড কমিশনার/ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক নিবন্ধিত সমিতি সমূহের কাছ থেকে সম্ভব্য  উপকারভোগীদের তালিকা সংগ্রহ করবে। তাছাড়াও যে কোন উপকারভোগীদের তালিকা সংগ্রহ করবে । তাছাড়াও  যে কোন উপকারভোগী সরাসরি জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করতে পারবে ।

খ . অনুরূপ ভাবে প্রাপ্ত আবেদন সমূহ সরেজমিন পরিদর্শনের মাধ্যমে এনজিও/ সিবিও কর্তৃক উপস্থিত স ব্য উপকারভোগী চিহ্নিত করণ, পূরণকৃত আবেদন ফরম ( পরিশিষ্ট – ক ) যাচাই বাছাই এবং সুপারিশ সহ তালিকা চুরান্তকরণ ।

গ. সরেজমিন পরিদর্শনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এনজিও / সিবিও কর্তৃক প্রেরিত তথ্যাদি জরিপ এবং তথ্যনুসন্ধান,

ঘ. সংশ্লিষ্ঠ  স্বাস্থ্য / পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নিকট হতে বিনাম্যল্যে গর্ভবতী / প্রসূতী  সনদ গ্রহনের ব্যবস্থ্য

ঙ. উপকারভোগী বাছায়ের ক্ষেত্রে প্রশ্ন দেখা  দিলে সরেজমিন পরিদর্শন করে তথ্যাদি পরীক্ষন পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন , ক্ষেত্র ভেদে তা বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটিতে নিষ্পত্তির জন্য প্রেরণ ;

চ. প্রয়োনন অনুসারে যে কোন সময় সভায় মিলিত হয়ে কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা,


বিজিএমইএ/ বিকেএমইএ এর কার্যাবলী ঃ

 ক. বিজিএমইএ / বিকেএমইএ কর্তৃপক্ষ তাদের আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহে কর্মরত উপকারভোগীদের তালিকা প্রণয়ন করবে ।

খ. উপকারভোগীদের স্ব-স্ব নামে ব্যাংক হিসাব খোলার ব্যবস্থা গ্রহন করবে ।

গ. কর্মসূচির আওতায়া উপকারভোগীর যাবতীয় তথ্যাদি সংরক্ষণ করবে ।

ঘ. উপকারভোগীর নামে খোলা হিসাব ও উপাকারভোগীর তালিকা যথাসময়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে প্রেরণ করবে ।

ঙ. যে সকল ব্যাংকে বিজিএসইএ এর উপকারভোগীর ব্যাংক হিসাব থাকবে ভাতা বিতরণের পর সে সকল ব্যাংক থেকে হিসাব সংগ্রহ পূর্বক যথাসময়ে মাহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে পেরণ নিশ্চিত করবে ।

চ. বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ তাদের আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের উপকারভোগীদের জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন এবং মাসে কমপক্ষে দুই দিন তিন ঘন্টা করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহন করবে। বাস্তবায়ন কমিটি এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনা পূর্বক প্রশিক্ষণ স্থান দিনক্ষণ ও প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি করবে ।

ছ. এই কর্মসূচির আওতায় জেলা পর্যায়ে সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার জন্য নির্বাচিত এনজিও / সিবিও সমূহ যে সকল দায়িত্ব পালন করবে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ -কে অনুরূপ দায়িত্ব পালন করতে হবে। এনজিও / সিবিও এর মত বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ - কে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সাথে ১৫০ (একশত পঞ্চাশ ) টাকার ননহজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে । চুক্তি ভঙ্গ করলে বা শর্তানুযায়ী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থ্যা  গ্রহন না করলে সেবা মূল্য প্রদান করা হবে না । সন্তোষজনক কাজের ভিত্তিতে সেবামূল্য প্রদান করা হবে । মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর যথারীতি কার্যক্রম মনিটর করবে।

সুবিধাভোগী হওয়ার শর্ত ও যোগ্যতা ঃ

ক. নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে
খ. বয়স কমপক্ষে ২০ বছর বা তার উর্দ্ধে হতে হবে
গ. মাসিক আয় ৫০০০/- টাকা বা তার নি¤েœ হতে হবে
ঘ. বিজিএমইয়ে / বিকেএমইএ এর আওতাভুক্ত নির্ধারিত নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত দরিদ্র দুঃস্থ দুগ্ধদায়ী এবং গর্ভবতী মহিলা হতে হবে ।
ঙ. ৬১টি জেলা সদর অথবা পরবর্তিতে সম্প্রসারিত ৬৪টি জেলা সদরস্থ পৌরসভা / সিটি করপোরেশনের ( কর্মসূচির জন্য নির্ধারিত এলাকা ) স্থায়ী বাসিন্দা অর্থাৎ  ভোটার হতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলারের প্রত্যয়ন থাকতে হবে।
চ. দরিদ্র প্রতিবন্ধী কর্মজীবী গর্ভবতী / দুগ্ধদায়ী মা ভাতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন
ছ.  দরিদ্র কর্মজীবী গর্ভবতী / দুগ্ধদায়ী মা প্রথম ও দ্বিতীয় গর্ভের সন্তান গর্ভাবস্থায় বা  সন্তান প্রসব হতে সর্বোচ্চ ২৪ মাসের জন্য জীবনে একবার মাত্র এই ভাতে পাওয়ার যোগ্য হবেন ।
জ. তৃতীয় বা তৎপরবতী সন্তান জন্মদানের জন্য কোন কর্মজীবী মা এই ভাতা পাওয়ার যোগ্য হবেন না । তবে প্রথন বা দ্বিতীয় গর্ভের সন্তান গর্ভাবস্থায় অথবা জন্মের দুই বছরের মাধ্যে মারা গেলে তৃতীয় গর্ভাধরকালে বিবেচনা করা যাবে।
ঝ. কোন কারণে সন্তান জন্মগ্রহণের পর দুই বছরের মধ্যে  মারা গেলে সংশ্লিষ্ট মা ২৪ মাস পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত ভাতা পাবেন
ঞ. নির্বাচিত কর্মজীবী গর্ভবতী মা ভাতা গ্রহন হতে ২৪ মাসের মধ্যে মারা গেলে তার সহায়তা তহবিল বন্ধ হয়ে যাবে । তাবে শিশু সন্তান জীবিত থাকলে অবশিষ্ট সময়ে সন্তানের বৈধ অভিভাবককে এই ভাতা প্রদান করা যাবে । এ ক্ষেত্রে অভিভাবকের পরিচয় পত্রে ওয়ার্ড কাউন্সেলর / প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা / উপজেলা নির্বাহী অফিসার / উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কর্তিত সত্যায়িত হতে হবে
ট. উপকার ভোগী নির্বাচন যখনই সম্পন্ন হোক না কেন উপকার ভোগীগন অর্থ বছরের শুরু ( জুলাই মাস ) থেকেই ভাতা প্রাপ্য হবেন ।

অংশগ্রহনকারী নির্বচিত এনজিও / সিবিও এর উপযুক্ততার শর্তাবলী ঃ

ক. অংশগ্রহনকরী এনজিও / সিবিও কে  মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তিক নিবন্ধিত হতে হবে । মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অনুরূপ কোন কর্মসূচির সাথে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধিত স্বেচ্ছাসেবী মহিলা প্রষ্ঠিানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে ।

খ . অংশগ্রহনকারী এনজিও / সিবিও এর পূর্ববর্তী ২ বছরের বার্ষিক অডিট প্রতিবেদনের হালনাগাদ ও সন্তোণজনক হতে হবে এবং সরকার কর্তৃক অনুমোদিত প্রষ্ঠিান / ব্যাক্তি কর্তৃক অডিট প্রতিবেদন থাকতে হবে ।

গ. নিবন্ধনকারী প্রষ্ঠিান কর্তৃক হালনাগাদ নবায়ন থাকতে হবে ।

ঘ. কর্মএলাকায় চলমান কার্যক্রমসহ অভিঞ্জ ও দক্ষ কর্মী বাহিনী কর্মরত থাকতে হবে এবং কর্ম এলাকা ভিত্তিক এনজিও / সিবিও কে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে ।

ঙ. সরকার / প্রশাসনের সাথে এধরনের উন্নয়নমূলক কাজে যৌথ অংশিদারিত্বের বা সম্পৃক্ততার পূর্ব অভিঞ্জতাকে অগ্রাধীকার দেয়া হবে ।

চ. Bank Solvency  প্রদানে সক্ষম এনজিও অগ্রধিকার পাবে
ছ. অংশগ্রহনকারী এনজিও/ সিবিও সমূহ চুক্তিতে উল্লেখিত কর্ম শুরুর তারিখ থেকে সেবামূল্য পাবেন  ।

অংশগ্রহনকারী নির্বাচিত এনজিও / সিবিও এর কার্যাবলী ঃ

ক. কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা  মোতাবেক কর্ম একালাকায় নির্ধরিত প্রতিষ্ঠান /  ব্যক্তিবর্গের সাথে সমন্বেয়ের মাধ্যমে ঐ এলাকার কর্মজীবী গর্ভবতী / দৃগ্ধদায়ী মা’ দের মূল  তালিকা ও অগ্রাধিকার তালিকা প্রস্তুত পূর্বক জেলা সদরস্থ পৌরসভা / সিটি করপোরেশনের জেলা পর্যায়ে কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার নির্বাচন কমিটিতে উপস্থিাপন করবে ।

খ. প্রজনন ¯¦াস্থ্যসহ জীবন য্াত্রার মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় অন্যান্য গুরুত¦পূর্ণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিসহ প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান ।

গ. গর্ভধারণ ও প্রসবকালীন যতœ, স্বাস্থ্য ও জন্মনিয়ন্ত্রণ, স্যানিটেশন , সচেতনতামূলক প্রশিক্ষন দান / কাউন্সিলিং সহ সামগ্রিক সহযোগিতা প্রদান

ঘ. সুবিধভোগী পরিবারের সাথে যোগাযোগ, পরিবীক্ষণ ও জেলা পর্যায়ে ল্যাকটেটিং মাদার নির্বাচন কমিটিকে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান ।

ঙ. ভাতা বিতরণে সহায়তা প্রদান ও মাষ্টার রোল সংরক্ষণ এবং কপি জেলা পর্যায়ে কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার নির্বচন কমিটির সদস্য সচিব বরাবর প্রেরণ ।

চ. ল্যাকটেটিং মাদর ভউচার স্কীম এবং কম্যুউনিটি নিউট্রিশন প্রকল্পের সুবিধা প্রাপ্তিতে ভাতাভোগীকে সহযোগিতা প্রদান ।

 ছ. যদি বস্তি এলাকায় কোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থাকে সেখানে এনজিও কর্তৃক প্রশিক্ষণের স্থান এবং শিশুদের ব্রেষ্ট ফিডিং কর্ণার এর ব্যবস্থা করতে হবে ।

জ. উপকারভোগীর জন্য মাসে কমপক্ষে ২দিন ৩ ঘন্টা করে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে হবে । তদারকি কমিটি এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনা পূর্বক প্রশিক্ষণ স্থান দিনক্ষন এবং প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি করতে হবে অথবা কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত প্রক্ষিণ মডিউল অনুযায়ী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে ।

ঝ. নির্বাচিত এনজিও / সিবিওকে মহাপরিচারক মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এর সাথে ১৫০/- ( একশত পঞ্চাশ) টাকার ননজুডিশিয়াল ষ্টাম্পে নির্ধরিত শর্তাদির আলোকে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে ।

এলাকা ভিত্তিক কর্মজীবী নিয়োগ প্রতিষ্ঠান নির্বাচন এবং তাদের দায়িত্ব ঃ

ক. ঢাকা নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর জেলায় কর্মসূচি চালুকরনের লক্ষ্যে বিজিএমইএ/ বিকেএমইএ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন মনে করলে এ সকল প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ঠ বস্তিকে
ও কর্মসূচির আওতাভুক্ত করা হবে । পারবর্তিতে অর্জিত অভিঞ্জতার ভিত্তিতে পর্যয়ক্রমে কার্যক্রমের কাভারেজ সম্প্রসারিত হবে ।

খ. যে সকল প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ৫০ জন উপকারভোগী পাওয়া যাবে সে সকল প্রতিষ্ঠানকে অগ্রধিকার দেয়া হবে । যদি কোন কর্মস্থল এলাকায় একটি প্রষ্ঠিানে ৫০ জন উপকারভোগী পাওয়া না যায় তবে তার পাশ্ববর্তী সংলগ্ন একাধিক প্রতিষ্ঠানকে অর্ন্তভুক্ত করা হবে ।

গ. নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহনকরী এনজিও / বিজিএমইএ/বিকেএমই এর প্রতিনিধিকে নিয়ে উপকারভোগীর তালিকা প্রণয়ন পূর্বক তদারকি / যাচাই কমিটিতে বিজিএমইএ / বিকেএমইএ বরাবর উপস্থাপন করতে হবে ।

ঘ. নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানকে উপকারভোগীদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ব্যবন্থা  করতে হবে । যেখানে একাধিক প্রতিষ্ঠান মিলে একটি কর্মস্থল ইউনিট হবে সেখানে বেশি সংখ্যক উপকারভোগী বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ব্যবন্থা করতে হবে ।

          

সহায়তা তহবিল পরিচালনা ভাতার মেয়াদ, পরিমাণ ও বিতরণ পদ্ধতি ঃ

ক . মহাপরিচালক মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর অথবা সংশ্লিষ্ট পরিচালক ও কর্মসূচি   বাস্তবায়নকারী সংশ্লিষ্ট সহকারী পরিচালকে এর যৌথ স্বাক্ষরে ( যে কোন দুইজন ) সহায়তা তহবিলের ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হবে ।

খ . জাতীয় ষ্টিয়ারিং কমিটি অনুমোদিত বাজেট বিভাজন অনুযায়ী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল পরিচালিত হবে ।

গ. বরাদ্ধকৃত অর্থ সংশ্লিষ্ঠ ব্যাংক হিসাবে জমাপূর্বক বিভাজন অনুযায়ী ব্যয় নিশ্চিত করতে হবে । অব্যায়িত অর্থ সরকারী কোষাগারে ফেরত প্রদান করা হবে ।

ঘ. প্রয়োজনানুযায়ী বিভাজনের অন্ত:খাত সমন্বয় করা যাবে ।

ঙ. একজন উপকারভোগী ময়ের মাসিক ভাতার পরিমাণ এবং সেবা প্রদানকারী এনজিও / সিবিও প্রতি উপকারভোগীর জন্য ২৪ ( চব্বিশ ) মাসের সেবা মূল্য ষ্টিয়ারিং কমিটি / প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত নির্ধারিত হবে ।

চ. অর্থ মন্ত্রণালয় ভাতার অর্থ বছরে দুই কিস্তিতে অবমুক্ত করবে এবং ্এই ভাতা বছরে দুই বার বিতরণ করা হবে । উযুক্ত কারণ বশতঃ এই ভাতার অর্থ বছরে এককালীন অবমুক্ত করে বিতরণ করা যাবে ।

ছ. বিজিএমইএ/ বিকেএমইএ এর আওতাভুক্ত গামেন্টস প্রতিষ্ঠান সমূহের উপকারভোগীদের স্ব- স্ব নামে খোলা ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ভাতা গ্রহন করাকে উৎসাহিত করা হবে ।

জ. জেলা পর্যায়ে পেনশনারদের পিপিও এর ন্যায় কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার উপকারভোগীদের ভাতা পরিশোধ বই থাকবে । এই বইয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও পৌরসভা / সিটি করপোরেশন প্রতিনিধি  স্বাক্ষর থাকবে । ভাতা বিতরণের সময় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তার স্বাক্ষর নিশ্চিত  করতে হবে । ভাতা পরিশোধ কার্ড উপকারভোগীর নিকট সংরক্ষিত থাকবে ।

ঝ. উপকারভোগী নির্বাচন পরবর্তি সময়ে আর্থিক বছরের শুরুতে যদি কোন  উপকারভোগী মৃত্যুবরণ করে এবং একবারও কোন ভাতা গ্রহন না করে  তাহলে বিজিএমইএ / বিকেএমইএ কর্তৃপক্ষ/ জেলা পর্যায়েকর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার নির্বচন কমিটির মাধ্যমে নতুন উপকারভাগী নির্বচন করা যাবে । উক্ত নির্বচিত নতুন উ পকারভোগী অর্থ বছরের শুরু হতে ভাতা প্রাপ্য হবেন ।

ভাতাভোগীদের তথ্যাদি সংরক্ষণ পদ্ধতি ঃ

ক. চুরান্তভাবে অনুমোদিত উপকারভোগীর ছবিসহ তালিকা অবেদন ফরম ও যাবতীয় তথ্যাদি সংশ্লিষ্ট জোলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এর আওতাভুক্ত নিয়োগ প্রতিষ্ঠানসমূহ পৃথকভাবে সংরক্ষণ করবে ।

খ. জেলার ক্ষেত্রে পেনশনারদের পিপিও এর ন্যায় ভাতা পরিশোধ কার্ড থাকবে ( পরিশষ্ঠ –খ ) এ কার্ডে সংশ্লিষ্ট জেলা কমিটির সদস্য সচিক কর্তিক ভাতা প্রাপকের সত্যায়িত ছবি ( সত্যায়নকারীর সীলসহ ) থাকবে ।

গ. কার্ডে এনজিও প্রতিনিধি ( যদি এনজিও নিয়োগ দেওয়া হয় ) সংশ্লিষ্ট পৌরসভা / সিটি করপোরেশন এর সিিচব/ জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার স্বাক্ষর  থাকবে ।
ঘ. উপকারভোগীর মধ্যে কেউ কার্ড হারিয়ে বা কোন কারনে নষ্ট করে ফেললে জেলা কমিটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নতুন কার্ড প্রদানের আবেদনের বিষয়টি চুরান্ত নিস্পত্তি করবে । বিষয়টি যাচাই – বাছাই করে কমিটি পুনরায় একটি ডুপলিকেট কার্ড ইস্যু করবে ।

কর্মসূচি ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের বাজেট ঃ

ক.কম্পিউটার, ফটোকপি মেশিন ও অন্যান্য এক্সসরিজ বাবদ ব্যয়;
খ. তদারকি / মনিটরিং এর জন্য যাতায়াত ভাতা / যানবাহন/ মটরসাইকেল বাবদ ব্যয়
গ. অফিস ষ্টেশনারী বাবদ ব্যয়;
ঘ. বিভিন্ন কমিটির সদস্যদের সম্মনী ও সভার আনুষাঙ্গিক ব্যয়;
ঙ. আসবাব পত্র ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক ব্যয়;

বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটি উপরোক্ত খাতসমূহ ছাড়াও অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাতের ব্যয় বিভাজন প্রস্তুত পূর্বক স্টিয়ারিং কমিটিতে অনুমোদনের জন্য পেশ করবে । স্টিয়ারিং কমিটি কতৃক এই ব্যয় বিভাজন অনুমোদন দেয়া হবে ।