Development Worker

test

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ৩ এপ্রিল, ২০২০

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮


 ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ 

দৈনন্দিন জীবনে প্রতিনিয়ত আমাদের ডিজিটাল নির্ভরতা বেড়েই চলেছে সেই সাথে বেড়ে চলে ডিজিটাল নিরাপত্তা ঝুকি ও ডিজিটাল অপরাধ। তাই আসুন জেনে নেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর আওতায় বাংলাদেশের একজন নাগরিকের যে সকল অপরাধের কারণে শাস্তি হতে পারে। 

১) গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে বে-আইনি প্রবেশ; ২) কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার সিস্টেম, ইত্যাদিতে বে-আইনি প্রবেশ; ৩) কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, ইত্যাদির ক্ষতিসাধন; ৪) কম্পিউটার সোর্স কোড পরিবর্তন সংক্রান্ত অপরাধ; ৫) মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রপাগান্ডা বা প্রচারণার; ৬) ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক জালিয়াতি; ৭) ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক প্রতারণা; ৮) পরিচয় প্রতারণা বা ছদ্মবেশ ধারণ; ৯) আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক, তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ, ইত্যাদি; ১০) অনুমতি ব্যতীত পরিচিতি তথ্য সংগ্রহ, ব্যবহার; ১১) সাইবার সন্ত্রাসী কার্য সংঘটনের অপরাধ; ১২) ওয়েবসাইট বা কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো তথ্য প্রকাশ, সম্প্রচার, ইত্যাদি; ১৩) মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, প্রচার; ১৪) আইনানুগ কর্তৃত্ব বহির্ভূত ই-ট্রানজেকশন এর অপরাধ; ১৫) আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো, ইত্যাদির অপরাধ; ১৬) সরকারি গোপনীয়তা ভঙ্গের অপরাধ; ১৭) বে-আইনিভাবে তথ্য-উপাত্ত ধারণ, স্থানান্তর; ১৮) হ্যাকিং সংক্রান্ত অপরাধ; ১৯) অপরাধ সংঘটনে সহায়তা এবং ২০) কোম্পানি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন।


এছাড়াও এ আইনে আর যে সকল উল্লেকযোগ্য বিষয়ে বলা হয়েছে তা হলো- এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, একজন চেয়ারম্যানসহ ১৩ (তেরো) সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠিত হবে যার চেয়ারম্যান হবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ১(এক) জন মহাপরিচালক ও ২(দুই) জন পরিচালকের সমন্বয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি নামে একটি এজেন্সি গঠন করবে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এজেন্সির নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে, এক বা একাধিক ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব থাকবে,এই আইনের কোনো বিধানের সাথে যদি অন্য কোনো আইনের কোনো বিধান অসমঞ্জস হয়, তাহলে অন্য কোনো আইনের বিধানের সাথে এই আইনের বিধান যতখানি অসমঞ্জস হয় ততখানির ক্ষেত্রে এই আইনের বিধান কার্যকর থাকবে তবে শর্ত থাকে যে, তথ্য অধিকার সংদান্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনে ২০নং আইন) এর বিধানাবলি কার্যকর থাকবে, যদি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর কাছে প্রতীয়মান হয় যে, ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত দেশের বা উহার কোনো অংশের সাথে, অর্থনৈতিক কর্মকা-, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুন্ন করে, বা জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণার সঞ্চার করে, তাহা হইলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী উক্ত তথ্য-উপাত্ত অপসারণ বা ব্লক করার জন্য, মহাপরিচালকের মাধ্যমে, বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সার্বক্ষণিকভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য এজেন্সির অধীন একটি জাতীয় কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম থাকবে এবং কাউন্সিল, এই আইন এবং তদধীন প্রণীত বিধির বিধান বাস্তবায়নকল্পে, এজেন্সিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করবে।

ট্রাইব্যুনালের বিচারক এই আইনের অধীন কোনো মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ হইতে ১৮০ (একশত আশি) কার্য দিবসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করিবেন। এই আইনে ভিন্নরূপ কিছু না থাকলে, কোনো অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপিল ও অন্যান্য বিষয়াদি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির বিধানাবলি প্রযোজ্য হবে। কোনো অপরাধ তদন্তের দায়িত্ব প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে তদন্ত কার্য সম্পন্ন করতে হবে। কোনো ব্যক্তি ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সংক্ষুব্ধ হলে তিনি আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়ের করতে পারবেন।

সর্বপরি, এই আইনে অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় ছয় মাস থেকে যাবৎজীবন কারাদন্ড ও দুই লক্ষ থেকে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। 


ব্রিঃদ্রঃ আরও বিস্তারিত জানতে আইনটি পঙ্খানুপঙ্খুভাবে পড়ুন। 































Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages